Comment

Home » » ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -৭] (টেকনিক্যাল এনালাইসিস, চার্ট/ট্রেন্ড, সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স)

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -৭] (টেকনিক্যাল এনালাইসিস, চার্ট/ট্রেন্ড, সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স)

Written By Unknown on Saturday, October 20, 2012 | 3:48 PM

টেকনিক্যাল এনালাইসিসঃ

হল বিগত দিনের মার্কেট চার্ট পড়ে পরবর্তী মার্কেট মুভমেন্ট কি হতে পারে তা বের করার বা বোঝার একটি পদ্ধতি। ইহা হল বিভিন্ন চার্ট , ট্রেডিং টুল এবং মার্কেট তথ্যর উপর ভিত্তি করে  ভবিষ্যৎ মার্কেট মুভমেন্ট কি হবে তার একটি সহজ সার্বজনীন ট্রেডিং পদ্ধতি। এতে করে ট্রেডাররা পূর্বের মার্কেট ডাটা এনালাইসিস করে পরবর্তী ট্রেড করতে পারে। বিশ্বের সব ট্রেডারদের কাছে এই পদ্ধতিটি খুবই জনপ্রিয় । কেউ কেউ এই পদ্ধতিকে ট্রেড উইথ হিস্টরিকেল ডাটা বলে থাকে। বিষয়টা আসলে আমাদের পরীক্ষায় প্রস্তুতি সরূপ, বিগত বছরের প্রশ্ন অনুসারে পরবর্তী বছরের পরীক্ষার জন্য রেডি হওয়া বা পরীক্ষা দেওয়াটা যেমন ভালো ফলাফলের একটি সহজ পদ্ধতি, টেকনিক্যাল এনালাইসিস ও  ট্রেডারদের কাছে এমন একটি ট্রেডিং হাতিয়ার। আশা করি এতক্ষণের আলোচনায় টেকনিক্যাল এনালাইসিস ধারনাটা পেয়ে গেছেন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস ৩ টি বিশেষ নীতির মাধ্যমে কাজ করে থাকে।
১। মার্কেট অ্যাকশনঃ
২। ট্রেন্ড এ প্রাইস মুভমেন্ট
৩। ইতিহাস পুনরাবৃত্তি
 চার্টঃ

টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর ৩ টি জনপ্রিয় চার্ট হলঃ
১। লাইন চার্ট
২। বার চার্ট
৩। ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট
তারমধ্যে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট বেশির ভাগ ট্রেডারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আমরা ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়েই আলোচনা করবো। জাপানিস রাইস ট্রেডার Homma’r  কাছ থেকে ক্যান্ডেলস্টিক ধারণাটি ফরেক্স মার্কেটে আসে। যা লম্বালম্বি ভাবে উভয় দিকে একটি রেখা (Stick) সহ  ব্লক এর মাধ্যমে অঙ্কিত একটা ক্যান্ডেল এর মত দেখতে তাই এর নাম করন ক্যান্ডেলস্টিক। এই চার্ট টাইপ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি দিনের বা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের মার্কেট প্রাইস তথা ওপেন, ক্লোজ, হাই এবং লো ইত্যাদি দেখা যায়। এই ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট অনেক রুপের মাধ্যমে অনেক ধরণের মার্কেট মভমেন্ট ডিরেকশন দেয়।

ট্রেন্ডঃ

হল মার্কেটের একটি স্বস্বাভাবিক গতিবিধি (মুভমেন্ট), একটি মার্কেট ট্রেন্ড কখনো স্ট্রেইট (সোজাসুজি) গতিতে চলে না। মার্কেট সব সময় প্রগতিশীল অর্থাৎ কখনো ঊর্ধ্বমুখী বা কখনো নিম্নমুখী এবং মাঝে মাঝে সমান্তরাল। যদি প্রত্যেক ক্রমানুযায়ী আপ মুভমেন্ট আগের নিম্নমুখী ট্রেন্ডের আরো নিচের দিকে মোড় নিতে শুরু করে তখন মার্কেট এর নিম্নক্রম প্রবনতা বলে ধরা যায়। আবার প্রত্যেক ক্রমানুযায়ী ডাউন মুভমেন্ট আগের ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডের আরো উপরের দিকে মোড় নিতে শুরু করে তখন মার্কেট এর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বলে ধরে নেওয়া হয়। এটাই আসলে মার্কেটের প্রকৃত চিত্র।
 সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্সঃ

টেকনিকেল এনালাইসিস এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মৌলিক ধারণা হল সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস। অর্থনীতির ভাষায় মার্কেটের চাহিদা এবং যোগানের দুটি মিলিত পয়েন্ট হচ্ছে এই  সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস । ফরেক্স মার্কেট যেহেতু অর্থনির্ভর একটি মার্কেট তাই এই ধারণাটি এখানে বেশ মূল্যবান। সঠিক সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স নির্ধারণ এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কখন ট্রেডে ডুকবেন এবং কখন ট্রেড থেকে বের হবেন এবং কি পরিমান লাভ করবেন কিংবা লস হলেও তা কি পরিমান। অর্থাৎ ট্রেন্ড এনালাইসিস এর মাধ্যমে সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস লেভেল নির্ধারণের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন এবং ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন।
 সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স লেভেল নির্ধারণঃ
support n resistance ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব  ৭] (টেকনিক্যাল এনালাইসিস, চার্ট/ট্রেন্ড, সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স)
সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স সবসময় পরিবর্তনশীল কতগুলো লেভেল, যা কখনো একটি লেভেলে স্থির থাকে না। উপরের চিত্রে লক্ষ্য করুন, আপট্রেন্ড মার্কেটের  প্রত্যেকটি সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে এক একটি রেসিসটেনস লেভেল এবং ডাউন ট্রেন্ডের সর্বনিম্ন প্রত্যেকটি পয়েন্টই হচ্ছে এক একটি  সাপোর্ট লেভেল।
আপ মার্কেট ট্রেন্ডে পূর্ববর্তী রেসিসটেনস ব্রেক করলে পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল রেসিসটেনস হিসেবে কাজ করে আবার ডাউন ট্রেন্ড মার্কেটে পূর্ববর্তী সাপোর্ট ব্রেক করলে পরবর্তী রেসিসটেনস লেভেল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
সাপোর্ট যখন ব্রেক করে প্রাইস তখন আরো কমতে থাকে এই অবস্থায় সেল ট্রেড করে প্রফিট করা যায় আবার রেসিসটেনস যখন ব্রেক করে পাইস তখন আরো  বাড়তে থাকে ওই অবস্থায় বায় ট্রেড করে প্রফিট করা যায়।
আর সাপোর্ট যখন ব্রেক না করে টাচ করে তখন বায় ট্রেড করে প্রফিট করা যায় এবং রেসিসটেনস যখন ব্রেক না করে টাচ করে তখন সেল ট্রেড করা যায়। এই ধরনের ট্রেডকে সুয়িং ট্রেড বলা হয়। অর্থাৎ সুযোগ সন্ধানী ট্রেড ।

রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং:

যখন একটি নির্দিষ্ট বাউন্ডারি বা এরিয়ার ভেতর মার্কেট মভমেন্ট তথা ট্রেডিং পরিচালিত হয় তাকে রেঞ্জবাউন্ড টেডিং বলে। মূলত ৮০% সময়ে এ সিস্টেমে মার্কেট পরিচালিত হতে দেখা যায়। কারন সবসময় মার্কেট ভলাটিলিটি হাই থাকে না। রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং অনেক ট্রেডারদের কাছে খুব্ই জনপ্রিয় একটি মেথড। এই পদ্ধতিতে ট্রেডারকে অবশ্যই ট্রেডিং রেঞ্জ এরিয়া অর্থাৎ দুটি এক্সট্রিম ট্রেডিং লেভেল(সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস) বুঝতে হবে।
bdforexpro rangboundtrading ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব  ৭] (টেকনিক্যাল এনালাইসিস, চার্ট/ট্রেন্ড, সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স)
উপরের চিত্রটি খেয়াল করুন মার্কেট একটি নির্দিষ্ট এরিয়া অর্থাৎ একটি স্ট্রং সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস এর মধ্যে বাউনসিং করছে। সাধারণত মার্কেট একটি হাই ভলাটিলিটি শেষে এই ধরণের রেঞ্জে মুভ করতে থাকে। অথবা মার্কেটে যদি কোন স্ট্রং প্রেসার না থাকে তখনও এই ধরণের রেঞ্জিং দেখা যায়।
মার্কেট মুভমেন্ট যখন কোন সাপোর্ট বা রেসিসটেনস লেভেল ব্রেক করতে পারে না তখন এই পদ্ধতিতে আপনি বায় অর্ডার করতে পারেন যখন প্রাইস সাপোর্ট লেভেল এর কাছাকাছি এবং সেল করতে পারেন যখন প্রাইস রেসিসটেনস লেভেল এর কাছাকাছি। সাপোর্ট লেভেল এর নিচে এবং রেসিসটেনস লেভেল এর উপরে ১৫-২০ পিপস স্টপ লস সেট করবেন এবং প্রফিট নিতে পারেন ৩০ পিপস এর মত। অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় ৩-৪টি সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস বাউনসিং এর পরে তা ব্রেক করে তাই সতর্ক থাকবেন।
Share this article :

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Farhad Template | Farhad Template
Copyright © 2011. 24bdn - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Farhad Template
Proudly powered by Blogger